স্বামী তিনবার গর্ভের সন্তান নষ্ট করানোয় সৎ মেয়ে জোনাকি কে খুন যাশোরে, ডিবির অভিযানে খুশি মানুষ
ঈদের আগে বেড়াতে এসে সৎ মায়ের হাতে খুন হয়েছে শিশু জোনাকি। মরদেহ উদ্ধারের ১০ ঘণ্টা পর হত্যার দায় শিকার করেছেন সৎ মা নার্গিস বেগম। ডি বি পুলিশ এই শিশু হত্যার লোমহর্ষক কাহিনী উদ্ধার ও আসামি সৎ মা কে আটক করেছে। জনপ্রিয় ডি বি দারোগা মফিজুল ইসলাম এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
নার্গিস জানিয়েছেন, স্বামী শাহীন তিনবার তার গর্ভের সন্তান নষ্ট করিয়েছেন। এই ক্ষোভে তিনি জোনাকিকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন।
নিহত জোনাকি যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানাধীন পোড়াবাড়ি গ্রামের শাহীন তরফদারের মেয়ে।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে যশোর শহরের রেলগেট পশ্চিমপাড়া মডেল মসজিদের পাশে একটি পুকুর থেকে জোনাকির (৯) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতের মুখ, হাত, পা ও গলায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। এ ঘটনায় শিশুটির সৎ মাকে হেফাজতে নেওয়া হয়।
জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে প্রায় ১০ ঘণ্টা পর হত্যার দায় শিকার করেন নার্গিস বেগম। এরপর রাত ১০টার দিকে নার্গিস বেগমকে ঘটনাস্থল তার ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তিনি হত্যাকাণ্ডের বিবরণ দেয়। এ সময় জোনাকির কাপড় ও জুতা উদ্ধার করা হয়।
যশোর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম জানান, নার্গিস বেগম জানিয়েছেন তার স্বামী গর্ভে আসা তিনটি সন্তান নষ্ট করেছেন। যে কারণে তিনি ক্ষুব্ধ ছিলেন। জোনাকি বেড়াতে আসার পর তিনি ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে তাকে হত্যা করেন। হত্যার পর মরদেহ দরজার পাশে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন। বাড়ির সবাই যখন জোনাকিকে না পেয়ে থানায় জিডি করতে যায় সেই সুযোগে মরদেহ নিয়ে পুকুরে ফেলে আসেন।
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, সোমবার সকাল ১০টার দিকে নিখোঁজ হয় জোনাকি। ঘটনার দিন রাতেই যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় নিখোঁজের জিডি করে শিশুটির পরিবার। মঙ্গলবার শিশুটির বাবার বাড়ির পেছনের ডোবা থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
তবে প্রধান হত্যাকারী আটক হলেও তার সহযোগীরা এখনো ধরাছোযার বাইরে। কেনোনা লাশ একা সরাতে পারেনি হত্যাকারী সৎ মা। এ কাজে তার এক বা একাধিক সহযোগী রয়েছে। খুদ্ধ এলাকাবাসি তাঁদের ও আইনের আওতায় আনতে দাবি জানান।
এদিকে শিশু জোনাকির হত্যাকারী আটক করায় সাধারণ মানুষ ডিবি কর্মকর্তা এস আই মফিজুল ইসলাম ও তার সহযোগিদের ধণ্যবাদ জানিয়েছেন।