অর্থ ও বাণিজ্য

গরমে বড় স্পেসের রেফ্রিজারেটরের গুরুত্ব

গ্রীষ্মের তাপদাহে জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এমন তীব্র গরমে রেফ্রিজারেটরে খাবার না রাখলে তা সহজে নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এক্ষেত্রে, রেফ্রিজারেটরে জায়গা কম হলে এবং তাপমাত্রার তারতম্যের কারণে বেশ ঝামেলা পোহাতে হয়। নিত্যদিনের এমন সমস্যা এড়াতে গরমকালের তাপমাত্রাকে মাথায় রেখে সঠিক তাপমাত্রা ও অধিক স্পেসযুক্ত রেফ্রিজারেটরে খাবার সংরক্ষণ করাই শ্রেয়।

রেফ্রিজারেটরে যথেষ্ট জায়গা না থাকা
রেফ্রিজারেটর বাইরে থেকে বেশ বড় দেখালেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভেতরে যথেষ্ট জায়গা থাকে না। দেখা যায় যে, রেফ্রিজারেটরের পুরু দেয়াল অধিক জায়গা জুড়ে থাকে, ফলে খাবার রাখার জন্য খুব কম জায়গা থাকে। স্বল্প জায়গায় অনেক খাবার গাদাগাদি করে রাখলে ফ্রিজ ওভারলোড হয়ে যায় এবং এর ফলে পচনশীল খাবার দ্রুত নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই, রেফ্রিজারেটরের ভেতর অধিক জায়গা খাবার গুছিয়ে রাখতে এবং প্রতি সপ্তাহের খাবার সঠিক উপায়ে সংরক্ষণ করতে সাহায্য করে।

প্রয়োজনীয় তাপমাত্রার তারতম্য ও অসম কুলিং
গরমকালে রেফ্রিজারেটরের ওপর অধিক চাপ পড়ে, ফলে ফ্রিজে সংরক্ষিত খাবার ঠান্ডা রাখতে ফ্রিজকে বেশি কাজ করতে হয়। এই চাপের ফলে, খাদ্যদ্রব্য ও পচনশীল খাবার নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং খাবার অপচয় হতে পারে। বর্তমানে, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি যেমন, অল-অ্যারাউন্ড কুলিং পুরো রেফ্রিজারেটরে সমান কুলিং নিশ্চিত করে।

কার্যকর উপায়ে বিদ্যুতের ব্যবহার
গরমকালের তাপমাত্রার সাথে সামঞ্জস্য রেখে সঠিক উপায়ে কাজ করতে রেফ্রিজারেটরকে অধিক শক্তি ব্যয় করতে হয়, ফলে বিদ্যুৎ বিল অনেক বেড়ে যায়। উদ্ভাবনী ডিজিটাল ইনভার্টার কম্প্রেসর বিদ্যুৎ ব্যবহার হ্রাস করে এবং দীর্ঘ সময় খাবার টাটকা রাখে। এতে বিদ্যুৎ বিলও কম গুণতে হয়।

রেফ্রিজারেটর কেনার ক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে যে, আপনি আপনার বাড়ির খাবার কীভাবে সংরক্ষণ করবেন তা রেফ্রিজারেটরের ওপর নির্ভর করছে। গ্রাহকদের প্রয়োজনীয়তার কথা বিবেচনা করে হোম অ্যাপ্লায়েন্স প্রস্তুতকারকরা বহু বছর ধরে বাজারে নানান ধরনের রেফ্রিজারেটর নিয়ে আসছে। এর মধ্যে স্যামসাং কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স বাংলাদেশ নিয়ে এসেছে স্পেসম্যাক্স™ সিরিজের টু-ডোর ও থ্রি-ডোর বিশিষ্ট সাইড-বাই-সাইড রেফ্রিজারেটরের লাইন-আপ।

এই লাইন-আপের রেফ্রিজারেটরে রয়েছে অল-অ্যারাউন্ড কুলিং সিস্টেম। এর ব্যতিক্রমী কৌশলে ডিজাইন করা একাধিক ভেন্টের মাধ্যমে ঠাণ্ডা বাতাস প্রবাহিত হয়। এটি ফ্রিজের সকল জায়গা সমানভাবে ঠাণ্ডা করে। টুইন কুলিং প্লাস প্রযুক্তি নিশ্চিত করে ’১৫ দিনের সতেজতা’। ফ্রিজ ও ফ্রিজার উভয় কম্পার্টমেন্টের জন্য এতে রয়েছে ডাবল ইভাপোরেটর এবং ডাবল কুলিং ফ্যান ফলে দুই কম্পার্টমেন্ট আলাদাভাবে ঠাণ্ডা হয় এবং ফ্রিজার থেকে ফ্রিজে গন্ধ ছড়ায় না। এছাড়া, দীর্ঘস্থায়ী স্যামসাং ডিজিটাল ইনভার্টার কম্প্রেসার ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে। এই কম্প্রেসার তাপমাত্রার প্রয়োজনীয়তা অনুসারে সাতটি কুলিং লেভেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এর গতি সামঞ্জস্য করে এবং এটি নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস করে। সার্টিফিকেশন অনুযায়ী কম্প্রেসরটি ২১ বছর চলবে এবং সাথে থাকছে ১০ বছরের ওয়্যারেন্টি। গ্রাহকরা স্যামসাং আউটলেট বা ওয়েবসাইট (www.samsung.com/bd) ভিজিট করে গ্রীষ্মের উপযোগী রেফ্রিজারেটরের বিশেষ লাইন-আপ থেকে তাদের পছন্দের মডেলটি বেছে নিতে পারবেন।
পরিবর্তিত জলবায়ু এবং আবহাওয়ার ফলে রেফ্রিজারেটর বর্তমানে প্রত্যেক পরিবারের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় অ্যাপ্লায়েন্সে পরিণত হয়েছে। তাই, দেরি না করে আজই কিনে ফেলুন অধিক জায়গাযুক্ত রেফ্রিজারেটর, আর খাবার সতেজ রাখুন দীর্ঘ সময়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button