লাইফস্টাইল

শীতের কাপড়ের যত্নআত্তি

সাধারণত কাপড়ের ভেতরে থাকা কেয়ার-লেবেলগুলো আমাদের সবার কাছেই অস্বস্তির কারণ হয়ে থাকে। ছোট ছোট ফন্টের লেখা আর বিচিত্র সব আইকন আমাদের বেশিরভাগের কাছেই অর্থহীন মনে হয়। কাপড় কিনে বাসায় আনার সাথে সাথেই তাই আমরা সাধারণত এই অংশটি কেটে ফেলে দেই। কিন্তু আসলে ওই লেবেলগুলোতে সঠিকভাবে কাপড় ধোয়ার নিয়ম ও কীভাবে যত্ন নিলে পোশাকটি দীর্ঘস্থায়ী হবে – এসব বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়া থাকে। বিশেষ করে বিশেষ ধরণের ফ্যাব্রিক ও অন্যান্য উপাদানে তৈরি শীতের পোশাক যদি বাকি সব কাপড়ের সাথে একইভাবে ধোয়া হয়, তাহলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা পোশাকের অপূরণীয় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

কলের ঠাণ্ডা পানিতে ভেজানোর কারণে শীতের পোশাকগুলো অনেক সময় সাধারণ কাপড়ের তুলনায় ভারি হয়ে যায় । ফলে এগুলো সঠিকভাবে ধোয়া ও এ থেকে পানি ঝরানো কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়। একই সাথে আর্দ্রতার কারণে শীতের কাপড়ের ভেতরে স্যাঁতস্যাঁতে ভাবও চলে আসতে পারে, যা পোকামাকড় ও জীবাণুর বিস্তার তৈরি করতে পারে। তাই শীতের কাপড় পরবার আগে অবশ্যই একবার ধুয়ে নেয়া আবশ্যক। অন্যান্য ঋতুতে কাপড় ধোয়া তুলনামূলক সহজ মনে হলেও, শীতকালে ওই একই পরিমাণ কাপড় ধোয়া বেশি কষ্টসাধ্য মনে হয়। বিশেষ করে শহুরে ব্যস্ত জীবনের ফাঁকে প্রতিদিনের ব্যবহার্য ৩-স্তরের কাপড় ধোয়া অনেকের কাছেই বিরক্তিকর মনে হতে পারে।

তবে যারা নিজের স্বাস্থ্যের মতো করে কাপড়েরও যত্ন নিতে চান তাদের ভরসা ওয়াশিং মেশিন। অনেকেই কাপড়ের ক্ষতি হবে ভেবে ওয়াশিং মেশিনের ব্যবহার এড়িয়ে চলেন। কিন্তু, জেনে রাখা ভালো- বেশ কিছু আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে ওয়াশিং মেশিন এখন বেশ সহায়ক।

নিম্নে উল্লেখিত প্র্রযুক্তিগুলো সম্বন্ধে জেনে ওয়াশিংমেশিন ক্রয় ও ব্যবহার করা গেলে সুফল পাওয়া সম্ভব-

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ওয়াশিং মেশিন: অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল আসার ভয়ে অনেকেই ওয়াশিং মেশিন ব্যবহার করেন না। তবে, বাজারে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী অনেক ওয়াশিং মেশিন রয়েছে যাতে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়। এজন্য ওয়াশিং মেশিন কেনার সময় ডিজিটাল ইনভার্টার প্রযুক্তি রয়েছে কিনা দেখে নেয়া প্রয়োজন। এছাড়াও এই যন্ত্রগুলোতে এমন সব ফিচার রয়েছে যার কারণে কাপড় জট পাকানো ও নষ্ট হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা পায়।

হাইজিন স্টিম: এখন বেশ কিছু ওয়াশিং মেশিনে হাইজিন স্টিম সুবিধা রয়েছে। এই প্রযুক্তির কারণে ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় কাপড় ধোয়া সম্ভব, যা ৯৯.৯ শতাংশ পর্যন্ত ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। এছাড়া পুরোনো ও তেল চিটচিটে দাগ সহজে পরিষ্কার হয়। তবে এক্ষেত্রে, কাপেড়ের ধরণ, রং বিবেচনায় রাখতে হবে । কাপড় কেনার সময়ের সতর্কবাণী দেখেও এ সম্পর্ক ধারণা নেয়া যেতে পারে।

টপ লোডিং ও ফ্রন্ট লোডিং: এছাড়া, নিজের পছন্দ, ঘরের অবকাঠামো, ব্যবহারের সুবিধা অনুযায়ী টপ লোডিং ও ফ্রন্ট লোডিং ওয়াশিং মেশিন রয়েছে ।

এআই প্রযুক্তি: কর্মব্যস্ত জীবনে কাপড় ধোয়া এখন আরো বেশি চ্যালেঞ্জিং। বিশেষ করে, কর্মজীবি নারীরা কাজ ও সময়ের সমন্বয় করতে হিমশিম খান। আবার গৃহপরিচালিকারা অনেক সময় আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহারই জানেন না। এআই বা আর্টফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স সম্পন্ন ওয়াশিং মেশিন তাদের জন্য আশির্বাদ হয়ে উঠতে পারে। ওয়াশিং মেশিনে কাপড় আগে থেকে দেয়া থাকলে, কিংবা বাসার কাজের লোক কাপড় দিয়ে দিলে, নিজের স্মার্টফোন থেকেই, প্রয়োজনমতো ডিটারজেন্ট পাওডার দেয়া ও ওয়াশিং মেশিন অপারেট করা যায়। তবে, এজন্য একটি ওয়াইফাই সংযোগ থাকতে হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button