আঞ্চলিকশীর্ষ নিউজ

শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন উদযাপন


মালিক উজ জামান, যশোর :
‘আজ তোমার আবির্ভাব বৎস্য এই দুরন্ত বাংলায়
বঙ্গবন্ধু কোলে পিঠে কত নিয়েছে ওহে খোকা তোমায়
ওরা খুশিতে ভাই বোন হাসিনা রেহানা কামাল জামাল
নানা নানী দাদা দাদী কত পিঠা গড়ে দিয়েছে তোমায় তাল
শেখ রাসেল তুমি দুরন্ত কিশোর সবুজ বাংলার চির গৌরব
৭৫’র ১৫ আগষ্টের সেই কু-দিনে তাই আজ আমরা সরব
জন্মদিনে আনন্দিত উল্লাসে ওহে লক্ষ কোটি বঙ্গ সন্তান
দেখো পদ্মা পায়রা রুপপুর আজি নতুন বাংলা আনয়ন
যতকাল রবে পদ্মা মেঘনা যমুনা এই বাংলায় বহমান
তোমার জন্য ্আনন্দ ভাগাভাগি উদযাপন সমানে সমান
ওহে বঙ্গবন্ধুর প্রানপ্রিয় ‘খোকা’ তোমায় ১টি লাল গোলাপ
আম জাম কাঁঠাল খেজুর কেক মেন্যু, আছে আরো আলাপ’।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শহীদ শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন আজ ১৮ অক্টোবর মঙ্গলবার। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গত বছর থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জন্মদিন ‘শেখ রাসেল দিবস’ হিসেবে পালিত হচ্ছে। শেখ রাসেল জাতীয় দিবসের এবারের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘শেখ রাসেল নির্মলতার প্রতীক, দুরন্ত প্রাণবন্ত নির্ভীক’। যশোরে বিভিন্ন সংগঠন বঙ্গবন্ধু পুত্র শেখ রাসেলের শুভ জন্মদিন উদযাপন করেছে। কেক কাটা, দোয়া মাহফিল, জন্মসভার আয়োজন করে আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গসংগঠন, সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের এই দিনে ধানমন্ডির ঐতিহাসিক স্মৃতি-বিজড়িত বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্মগ্রহণ করেন। আর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মানবতার শত্রু ঘৃণ্য ঘাতকদের নির্মম বুলেট থেকে রক্ষা পাননি শিশু শেখ রাসেল। বঙ্গবন্ধুর সাথে নরপিশাচরা নির্মমভাবে তাকেও হত্যা করেছিল। সেসময় ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিল রাসেল। শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রবিবার পৃথক বাণী প্রদান করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শেখ রাসেল আজ আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু আছে তার পবিত্র স্মৃতি। বাংলাদেশে সব শিশুর মধ্যে আজও আমি রাসেলকে খুঁজে ফিরি। এই শিশুদের রাসেলের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে। এমন এক উজ্জ্বল শিশুর সত্তা বুকে ধারণ করে বাংলাদেশের শিশুরা বড় হোক। খুনিদের বিরুদ্ধে তারা তীব্র ঘৃণা বর্ষণ করুক। তার প্রত্যাশা- বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে দেশের সব শিশু এগিয়ে আসুক। তিনি গভীর ভালোবাসা ও পরম মমতায় রাসেলকে স্মরণ এবং তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। বঙ্গবন্ধুর জেষ্ঠ্য সন্তান শেখ হাসিনা দিবসের বাণীতে উল্লেখ করেন, শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের বাসায় জন্মগ্রহণ করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের অত্যন্ত প্রিয় লেখক ছিলেন খ্যাতনামা দার্শনিক ও নোবেলজয়ী বার্ট্রান্ড রাসেল। জাতির পিতা বার্ট্রান্ড রাসেলের বই পড়ে বঙ্গমাতাকে ব্যাখ্যা করে শোনাতেন। তাই বঙ্গবন্ধু আর বঙ্গমাতা দু’জনে মিলে শখ করে, তাঁদের আদরের ছোট ছেলের নাম রেখেছিলেন ‘রাসেল’। রাসেল নামটি শুনলেই প্রথমে যে ছবিটি সামনে আসে, তা হলো- হাস্যোজ্জ্বল, প্রাণচঞ্চল এক ছোট্ট শিশুর দুরন্তপণা, যে শিশুর চোখগুলো হাসি-আনন্দে ভরপুর। মাথা ভর্তি অগোছালো চুলের সুন্দর একটি মুখাবয়ব, যে মুখাবয়ব ভালোবাসা ও মায়ায় মাখা।
শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন রাজধানীসহ দেশের সকল বিভাগ, জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি আয়োজন করেছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button