বিশ্বশীর্ষ নিউজ

অস্ট্রেলিয়ার গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে বিপদাপন্নের তালিকায় রাখা উচিত: জাতিসংঘ

 

জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ার গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ বিপদাপন্ন তালিকায় থাকা উচিত। গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যের (ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট) তালিকায় রয়েছে।

সোমবার নতুন প্রতিবেদনে ইউনেসকোর প্যানেল বলেছে, বিশ্বের সর্বোচ্চ কোরাল প্রবালপ্রাচীরের বাস্তুসংস্থান জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত কারণে প্রভাবিত হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়া বছরের পর বছর  প্রাবালপ্রাচীরকে বিপদাপন্নের তালিকায় না রাখতে লবিং করেছে। প্রবালপ্রাচীর থেকে অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতিতে বছরে ৬৪০ কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলার যুক্ত হয়। অস্ট্রেলিয়ার ভয়,  প্রবালপ্রাচীর বিপদাপন্নের তালিকায় রাখলে এটা বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারে এবং পর্যটক কমে যাবে।

করোনা ভাইরাসের আগে প্রতিবছর এই প্রবালপ্রাচীরে ২০ লাখ বিদেশি পর্যটক সফর করতো। এই প্রাচীরের সঙ্গে ৫৪ হাজার মানুষের জীবিকা জড়িত।

 ইউনেসকো গত বছরও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বিশ্বের বৃহত্তম প্রবালপ্রাচীর গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে ‘বিপদাপন্ন’ বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করার সুপারিশ করে

ইউনেসকোর বক্তব্য, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে রক্ষায় অস্ট্রেলিয়া যথেষ্ট পদক্ষেপ নেয়নি। রিফের পানির মান উন্নয়নে প্রধান লক্ষ্যসমূহ পূরণ করা হয়নি। গ্রেট ব্যারিয়ার রিফকে রক্ষা করতে এখনই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমনের পদক্ষেপ নিতে হবে।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রবালপ্রাচীর গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের উপকূল ঘেঁষে কোরাল সাগরে অবস্থিত। বৈজ্ঞানিক ও প্রাকৃতিক গুরুত্বের কারণে ১৯৮১ সালে স্থানটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ ঘোষণা করে ইউনেসকো।

গ্রেট ব্যারিয়ার রিফের অবস্থা ‘বিপদাপন্ন’ বলে ২০১৭ সালে প্রথম অভিযোগ তোলে ইউনেসকো। এরপর অস্ট্রেলিয়া সরকার রিফের অবস্থার উন্নতি করতে ৩০০ কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলার ব্যয়ের প্রতিশ্রুতি দেয়। তবে পাঁচ বছর ধরে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কার্যক্রমের কারণে গ্রেট ব্যারিয়ার রিফের প্রবালের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

বিজ্ঞানীরা বলেছেন, গ্রেট ব্যারিয়ার রিফের ক্ষতির প্রধান কারণ হচ্ছে, সাগরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি। অতিমাত্রায় জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের কারণে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে এটা ঘটছে।

এরপরও ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন ডাই–অক্সাইড নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনতে নেওয়া বৈশ্বিক পরিকল্পনায় যোগ দিতে আগ্রহী নয় অস্ট্রেলিয়া। সবচেয়ে বেশি কয়লা ও গ্যাস রপ্তানিকারক দেশগুলোর একটি অস্ট্রেলিয়া। ২০১৫ সালের প্যারিস জলবায়ু চুক্তির পর কার্বন নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা হালনাগাদও করেনি দেশটি। সূত্র: আল জাজিরা

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button