অর্থ ও বাণিজ্যবিশেষ খবর

কুমিল্লা ইপিজেডে শ্রমিকের কর্মসংস্থান বাড়ছে

 

কুমিল্লা (দক্ষিণ), ১ নভেম্বর, ২০২৩ (বাসস) : কুমিল্লা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকায় (ইপিজেড) নতুন নতুন দেশি বিদেশি শিল্পকারখানা গড়ে উঠার ফলে বাড়ছে বিনিয়োগ। পাশাপাশি রপ্তানি বেড়েছে কয়েকগুণ। যার ফলে কুমিল্লা ইপিজেডে বাড়তি শ্রমিকের চাহিদা বাড়তে থাকে। বর্তমানে কুমিল্লা ইপিজেডে প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। তাদের মধ্যে শতকরা ৮০ ভাগই নারী শ্রমিক বলে বাসসকে নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা) কুমিল্লার নির্বাহী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মাহবুব।
জানা গেছে, ১৯৯৯ সালের ৭ মার্চ কুমিল্লা বিমানবন্দর এলাকার ২৬৭ দশমিক ৪৬ একর জায়গা নিয়ে কুমিল্লা ইপিজেড প্রকল্প শুরু হয়। বর্তমানে এখানে ৪৯টি প্রতিষ্ঠানে উৎপাদন হচ্ছে বিভিন্ন পণ্য। আরও ৪টি প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রয়েছে পণ্য উৎপাদনে। বিদেশি বিনিয়োগে ২৭টি, দেশি-বিদেশি যৌথ বিনিয়োগে ১৩টি এবং শুধু দেশীয় বিনিয়োগে চলছে ৮টি প্রতিষ্ঠান। বিদেশি বিনিয়োগের মধ্যে চীন, জাপান, সিঙ্গাপুর, কানাডা ও যুক্তরাজ্যসহ মোট ১৪টি দেশ।
কুমিল্লা ইপিজেডে পোশাক, ইলেকট্রনিক, ব্রাশ, মেডেল, ফুটওয়্যার, ক্যামেরার কেইস, ব্যাগ, লাগেজ, প্লাস্টিক পণ্য, হেয়ার ও ফ্যাশন অ্যাক্সেসরিজ, গ্লাভস, পেপার প্রোডাক্টসহ বিভিন্ন রকমের পণ্যসামগ্রী উৎপাদিত হচ্ছে। ঢাকা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে কুমিল্লা ইপিজেডের অবস্থান হওয়ায় পণ্য পরিবহনে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে।
কুমিল্লার ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মাহবুব বাসসকে বলেন, গত ৫ বছরের মধ্যে কুমিল্লা ইপিজেডে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে বিনিয়োগ হয়েছে ৩১ দশমিক শূন্য ৫ মার্কিন ডলার, ওই অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছিল ৪৯০ দশমিক ৭৫ মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্যসামগ্রী। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বিনিয়োগ হয়েছে ৩৮ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ওই অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছিল ৪৬৪ দশমিক ৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্যসামগ্রী। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে বিনিয়োগ হয়েছে ৬১ দশমিক শূন্য ২ মার্কিন ডলার, ওই অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছিল ৫৬৫ দশমিক ৮৫ মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্যসামগ্রী। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে বিনিয়োগ হয়েছে ৬৭ দশমিক ৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ওই অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছিল ৮১৪ দশমিক ৮২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্যসামগ্রী। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে বিনিয়োগ হয়েছে ৫০ দশমিক ২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ওই অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছিল ৭৯০ দশমিক ৯৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্যসামগ্রী।
এ বিষয়ে এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি জামাল আহমেদ বলেন, কুমিল্লা ইপিজেডে বিনিয়োগ বেড়েছে। তবে কুমিল্লার প্রাচীন বিমানবন্দরটি চালু হলে এখানে আরও বেশি বিনিয়োগ বাড়বে। যাতায়াত যত নির্বিঘœ করা যাবে ততই দেশি-বিদেশি পর্যটকরা আরও বেশি আকৃষ্ট হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button